skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
Homeকলকাতাগ্রিন বিল্ডিং, তিলোত্তমার নতুন সভ্যতা, সংস্কৃতি
Green Building

গ্রিন বিল্ডিং, তিলোত্তমার নতুন সভ্যতা, সংস্কৃতি

কবিতা, গান, নাটক, ফুটবল, এ সব তো বহু যুগ ধরে এ শহরের মজ্জায় ছিলই

Follow Us :

কলকাতা: ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে তিলোত্তমা আমাদের শহর কলকাতা (Kolkata)। কবিতা, গান, নাটক, ফুটবল, এ সব তো বহু যুগ ধরে এ শহরের মজ্জায়। এসবের সঙ্গেই যোগ হয়েছে এক নতুন ট্রেন্ড– গ্রিন বিল্ডিং (Green Building)। কলকাতার একাধিক রিয়েল এস্টেট (Real Estate) এবং কর্পোরেট সংস্থা (Corporate House) গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণের দিকে ঝুঁকেছে যা পরিবেশ রক্ষা ও শক্তি সঞ্চয়ে দুর্দান্ত অগ্রগতি এনে দিয়েছে।

গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণে দেশের সেরা ১০ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। অন্তত ২৫০ মিলিয়ন বর্গফুট জায়গার গ্রিন বিল্ডিং যোগ হয়েছে এ রাজ্যে। রাজধানী কলকাতায় বর্তমানে ৫৫টি অনুমোদিত গ্রিন বিল্ডিং প্রজেক্ট চলছে, বছরে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির হারও দেখা যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে। আলাদা করে এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে রাজারহাটের নিউটাউন (New Town)।

গ্রিন বিল্ডিংয়ের অন্যতম সুবিধা হল, এর নির্মাণে খরচ কম, প্রথাগত বহুতলের অন্তত তিন থেকে চার শতাংশ কম। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক বহুতলের পরিচালন খরচ কমে যাচ্ছে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, কবে কোথায় আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’?

শহরের এক নামী রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্ণধার অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “রিয়েল এস্টেট সেক্টরে এক নতুন ধারণা এসে পড়েছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতারা আগের থেকে অনেক বেশি করে স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। গ্রিন বিল্ডিং শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য উপকারী নয়, শক্তি সঞ্চয় এবং সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে এর দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লাভ রয়েছে।”

গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণের ‘ইনসেন্টিভ’ দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (WB Government)। নিউটাউনের একাধিক গ্রিন বিল্ডিং ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (IGBC) থেকে প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেট পেয়েছে। কলকাতা পুরসভা গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ফ্লোর এরিয়া রেশিও প্রদান করছে। কলকাতার আর রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্তা বিপি সিংহ রায়ের মতে, পরিবেশ সহায়ক উপাদান, জল সংরক্ষণ প্রযুক্তি, শক্তি-সঞ্চয়ী ডিজাইন ব্যবহার করে যেমন পরিবেশ-প্রকৃতির উপর কম চাপ পড়ছে, তেমন রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কম হচ্ছে।

এদিকে কলকাতার কর্পোরেট হাউসগুলিও গ্রিন বিল্ডিংয়ের ট্রেন্ড আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বড় বড় সংস্থারা ক্রমশ ইকো-ফ্রেন্ডলি ডিজাইনের দিকে ঝুঁকছে। IGBC এবং LEED-এর (Leadership in Energy and Environmental Design) শংসাপত্র পাওয়া তাদের লক্ষ্য। আর এল রিয়েল এস্টেট কর্তা আদর্শ ভগত বলছেন, “LEED-এর শংসাপত্র পেতে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। যাতায়াত ব্যবস্থা, উপাদান, শক্তি, ইন্ডোর পরিবেশ, বর্জ্য, কার্বন, জল ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক মাপকাঠি বজায় রাখতে পারলে তবেই আসবে পয়েন্ট।”

RELATED ARTICLES

Most Popular